আদর্শের কার্যকর স্বাভাবিক বিপ্লব ইসলামী আদর্শের আলোকে মানুষের মন মগজ, চিন্তা-চেতনা, আচারআচরণ, কাজ-কর্ম সবকিছু ঢেলে সাজাতে পারলে তার স্বাভাবিক ফলশ্রুতি হল ইসলামী বিপ্লব।
ঐতিহাসিকভাবে একথা সত্য যে, প্রাক ইসলামী যুগে মানুষে মানুষে কোন ভাতৃত্বের বন্ধন ছিলনা। বিভিন্ন গোত্র, দল, খান্দানে বিভক্ত ছিল। ছিল পরস্পরের রক্ত পিপাসু ও জানমাল ইজ্জতের দুশমন। এমতবস্থায় শত্র“তা ভুলে সুসম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্বের মহান শিক্ষা দিয়েছিল হযরত মুহাম্মদ (সা)।
যদি আমরা খোদার সাথে সম্পর্ক কায়েমের যথাযথ ব্যবস্থা করে দলীয় নীতি ও শৃংখলার আনুগত্য করি এবং উলি্লখিত নৈতিক গুনাবলী নিজেদের মধ্যে সৃষ্টি করে কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়ি তাহলে ইনশাআল্লাহ, আমাদের ব্যর্থতার সামান্যতম সম্ভাবনাও নেই। খোযদি আমাদেরকে স্বয়ংসমপূন্ন হওয়ার তিনটি সুযোগ দেন, তাহলে বিশ্বাস করুন আমরা ব্যবসায়ে যে পুঁজি খাটাচিছ তা কয়েকগুন অধিক মুনাফাদানে সক্ষম হবে।
একটি আদর্শিক ইসলামী দল টিকে থাকতে হলে কেবল আদর্শই নয়, প্রয়োজন সঠিক নীতি, আত্মশুদ্ধি, নেতৃত্বে আস্থা ও পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব। ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও দলীয় ঐক্যের মাধ্যমে এই পতন রোধ সম্ভব।
ইসলামী সংগঠনের লক্ষ্য ১. আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের উপায় মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য সাধন আর তা আব্দ হিসাবে আল্লাহর বিধান মুতাবেক আত্মগঠন, পরিবার গঠন, দল গঠন ও রাষ্ট্র গঠন। ২. ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে হতাশার কোন কারণ নেই।