রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর উম্মতকে এমন এক বিশেষ দলের সুসংবাদ দিয়েছেন, যাদের আল্লাহ্ ﷻ কোনরূপ হিসাব-নিকাশ ও শাস্তি ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। এরা তারা, যারা ঈমান, তাকওয়া, সৎকর্ম এবং আল্লাহর আদেশের প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্যে অগ্রগামী ছিল। তাদের ঈমান ছিল বিশুদ্ধ, তাদের তাওয়াক্কুল ছিল পূর্ণাঙ্গ, এবং তাদের নির্ভরতা ছিল কেবলমাত্র আল্লাহর উপর—শিরক, কুসংস্কার কিংবা ভ্রান্ত ধারণা থেকে মুক্ত।
মানবজাতির মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন, তিনি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ। আর প্রথম জাতি হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে তাঁর উম্মাহ। এই উম্মাহর মধ্যে সর্বপ্রথম প্রবেশ করবেন আবু বকর আস-সিদ্দীক (رضي الله عنه)।
কিয়ামতের ময়দান শেষ হয়ে গেছে। বিচার সম্পন্ন হয়েছে। কেউ জান্নাতে, কেউ জাহান্নামে। কিন্তু জাহান্নামের গভীরে এখনও রয়েছেন এমন এক ব্যক্তি। যার ভাগ্য নির্ধারিত হবে সবার শেষে।
ইসলামী আন্দোলন কোনো একক সংগঠনের কাজ নয়—বরং এটি সকল মুমিনের দায়িত্ব। আল্লাহর দীনকে বিজয়ী করতে, নির্যাতিতদের মুক্ত করতে, সমাজকে হিদায়াত দিতে, এবং জান্নাত অর্জনের পথ রচনা করতেই এই আন্দোলন অপরিহার্য।
আদর্শের কার্যকর স্বাভাবিক বিপ্লব ইসলামী আদর্শের আলোকে মানুষের মন মগজ, চিন্তা-চেতনা, আচারআচরণ, কাজ-কর্ম সবকিছু ঢেলে সাজাতে পারলে তার স্বাভাবিক ফলশ্রুতি হল ইসলামী বিপ্লব।
ইবলিস আমাদের চিরশত্রু। সে আল্লাহর চ্যালেঞ্জ করে বলেছে, সে মানবজাতিকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। সে আমাদের চিন্তা, মন এবং আত্মাকে প্রভাবিত করে। আমাদের প্রতিটি কাজের পূর্বে সিদ্ধান্ত আসে দুটো জায়গা থেকে: মস্তিষ্ক (চিন্তা) এবং বিবেক (আত্মা)।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ > "হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইসলামে প্রবেশ করো সম্মিলিতভাবে এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।" সূরা: আল-বাকারা (2:208)
সময়ের কসম। মানুষ আসলে খুবই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করতে থেকেছে এবং পরস্পরকে হক কথার ও সবর করার উপদেশ দিতে থেকেছে।
নবী সা. বলেছেন : যেদিন আল্লাহ তায়ালার (রহমতের) ছায়া ব্যতীত অন্য কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন সাত (শ্রেণীর) ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা তাঁর নিজের (আরশের) ছায়ায় আশ্রয় দেবেন- ১. ন্যায়পরায়ণ শাসক ২. ঐ যুবক যার জীবন গড়ে উঠেছে তার রবের ইবাদতের মধ্যে। ৩. এমন (নামাজি) ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদগুলোর সাথে লটকানো থাকে ৪. এমন দু’ব্যক্তি যারা পরস্পরকে ভালোবাসে শুধুমাত্র আল্লাহর ওয়াস্তে...
ইসলামী সংগঠনের লক্ষ্য ১. আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের উপায় মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য সাধন আর তা আব্দ হিসাবে আল্লাহর বিধান মুতাবেক আত্মগঠন, পরিবার গঠন, দল গঠন ও রাষ্ট্র গঠন। ২. ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে হতাশার কোন কারণ নেই।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, "যে ব্যক্তি ইলম (জ্ঞান) অর্জনের উদ্দেশ্যে কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।” (তিরমিযি: ২৬৪৬ | ইবনু মাজাহ: ২২৩ | সহীহুল জামে: ৬২৯৮ – সহীহ হাদিস)
যদি আমরা খোদার সাথে সম্পর্ক কায়েমের যথাযথ ব্যবস্থা করে দলীয় নীতি ও শৃংখলার আনুগত্য করি এবং উলি্লখিত নৈতিক গুনাবলী নিজেদের মধ্যে সৃষ্টি করে কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়ি তাহলে ইনশাআল্লাহ, আমাদের ব্যর্থতার সামান্যতম সম্ভাবনাও নেই। খোযদি আমাদেরকে স্বয়ংসমপূন্ন হওয়ার তিনটি সুযোগ দেন, তাহলে বিশ্বাস করুন আমরা ব্যবসায়ে যে পুঁজি খাটাচিছ তা কয়েকগুন অধিক মুনাফাদানে সক্ষম হবে।